May 20, 2024

কথা হোক ঘরে বাইরে

Washington on BBC’s Documentary Regarding Modi: ‘এই বিষয়ে অবগত নই’, মোদীকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র প্রসঙ্গে পাকিস্তানি সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাব ওয়াশিংটনের

BBC Documentary : মোদীকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্রের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মার্কিন আধিকারিক নেড প্রাইস বলেন, এরকম কোনও বিষয়ে অবগত নন তিনি। বরং আমেরিকা ও ভারতের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের কথা তুলে ধরেন তিনি।

KN

ওয়াশিংটন: মোদীকে (Narendra Modi) নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র (BBC Documentary) ঘিরে দেশ ও বিদেশে একাধিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ‘ইন্ডিয়া: দ্য় মোদী কোয়েশ্চেন’। গুজরাট হিংসার সময় নরেন্দ্র মোদীকে নিয়েই তৈরি হয়েছে বিবিসির এই তথ্যচিত্র। এদিকে জেএনইউ বিশ্ববিদ্য়ালয়ে এই তথ্যচিত্র প্রদর্শনের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। অন্যদিকে হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্ক্রিনিং হয়েছে এই তথ্যচিত্র। তারপর দায়ের হয়েছে অভিযোগও। এই আবহেই মোদীকে নিয়ে বিবিসির এই তথ্যচিত্রের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস (Ned Price) বলেছেন, তিনি এই ধরনের কোনও তথ্যচিত্র সম্বন্ধে অবগত নন। এর পাশাপাশি তিনি বলেছেন, তবে ওয়াশিংটন ও নয়া দিল্লিকে যে “গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ” সংযুক্ত করে তার সঙ্গে তিনি পরিচিত।

প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রী মোদীর উপরে দুটি এপিসোড নিয়ে একটি তথ্যচিত্র বানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি। এই তথ্যচিত্রের নাম ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ (India: The Modi Question)। যখন ২০০২ সালে গুজরাট হিংসার সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই তথ্যচিত্রে গুজরাট হিংসার কিছু বিষয় নিয়ে তদন্ত করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এই তথ্যচিত্রকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে আগেই বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। এই তথ্যচিত্র ঘিরে অনেক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

এবার এই তথ্যচিত্র নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিল ওয়াশিংটন। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করছিলেন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস সাংবাদিকদের বলেন, ওয়াশিংটন ও নয়া দিল্লি র মধ্যে একটি ব্যতিক্রমী গভীর পার্টনারশিপ রয়েছে। তার অন্যতম কারণ হল ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-উভয়েরই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ। এই সাংবাদিক বৈঠকের সময়ই একজন পাকিস্তানি সাংবাদিক প্রশ্ন করেন বিবিসির এই বিতর্কিত তথ্যচিত্র নিয়ে। প্রাইস সরাসরি বলেন, “আপনি যে তথ্যচিত্রের কথা বলছেন সেই বিষয়ে আমি অবগত নই। তবে ওয়াশিংটন ও নয়া দিল্লিকে যে “গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ” সংযুক্ত করে তার সঙ্গে আমি পরিচিত।” প্রাইস বলেন, নয়া দিল্লির সঙ্গে ওয়াশিংটনের বৈশ্বিক কৌশলগত পার্টনারশিপকে শক্তিশালী করার জন্য বেশ কয়েকটি বিষয় রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক।

উল্লেখ্য, বিবিসির এই তথ্যচিত্র প্রসঙ্গে আগেই বিদেশ মন্ত্রকের তরফে স্পষ্ট জবাব দেওয়া হয়েছিল। এই তথ্যচিত্রকে পক্ষপাতদুষ্ট ও প্রচারমূলক হিসেবে উল্লেখ করে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, “তথ্যচিত্রটি আসলে নির্মাতা সংস্থার মনগড়া। আমরা মনে করি এটা একটা প্রোপাগান্ডার অংশ। একটি নির্দিষ্ট নিন্দিত বর্ণনাকে তুলে ধরার জন্য এই ডকুমেন্টারি তৈরি করা হয়েছে। এটি পক্ষপাতদুষ্ট, বস্তুনিষ্ঠ নয় এবং আবহমান ঔপনিবেশিক মানসিকতা স্পষ্ট ধরা পড়েছে। প্রতিক্রিয়া দিয়ে এই ধরনের চলচ্চিত্রকে মর্যাদান্বিত করব না।” এদিকে গত ২১ জানুয়ারিই বিবিসির এই তথ্যচিত্রের লিঙ্ক শেয়ার করা একাধিক ইউটিউব ভিডিয়ো ও টুইটার পোস্ট ব্লক করার নির্দেশ দেয় নয়া দিল্লি। অন্যদিকে, বিবিসির এই তথ্যচিত্র নিয়ে মোদীকেই সমর্থন করেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। তিনি বলেন, এই তথ্য়চিত্রে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর চরিত্রায়নের সঙ্গে তিনি সহমত নন।