May 8, 2024

কথা হোক ঘরে বাইরে

পঞ্চাশ হোক কিম্বা পচাত্তর; স্বাধীনতা দিবস মানেই সরকারি ছুটি, সাত সকালে প্রধানমন্ত্রীর জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, মাইকে এলাকা কাঁপিয়ে দেশাত্মবোধক গান বাজানো, একদিনের ফুটবল টুর্নামেন্ট, রক্তদান শিবির, পাড়ার ক্লাবের পিকনিক, বন্ধুরা মিলে মদ্যপান, ফেসবুকের নিজের প্রোফাইল জাতীয় পতাকার তিনরঙে মুড়ে দেওয়া… স্বাধীনতার জন্য কত শত জীবন বলিদান, ব্রিটিশ পুলিশের অত্যাচার সহ্য করা। এক দিনে মেলেনি স্বাধীনতা, অনেক রক্ত ঝড়িয়ে, লাগাতার সংগ্রাম করে কেড়ে নিতে হয়েছে। আজ তো উদযাপনের জোয়ারে ভেসে যাওয়ারই কথা। আগের রাতেই লম্বা লাইন পরেছিল মাংসের আর মদের দোকানে, ব্যস্ততা ছিল জাতীয় পতাকা কিনতে।

স্বাধীনতার জন্য যারা জীবন বাজী রেখে ঝাঁপ দিয়েছিলেন, তাঁরা ভেবেছিলেন ভারত স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের মর্যাদা পেলে সাধারণ দেশবাসীর মৌলিক চাহিদাগুলি পূরণ হবে, মানুষের বেঁচে থাকার

রোটি-কাপড়া-মকান ছাড়াও শিক্ষা স্বাস্থ্য সুস্থ পরিবেশ, উপযুক্ত সৃষ্টি ও সংস্কৃতির মতো ন্যূনতম চাহিদাও মিটবে। কিন্তু স্বাধীনতা প্রাপ্তির পরবর্তী কয়েক বছরের মধ্যেই ফুটে উঠল এক অন্য ছবি। স্পষ্ট হয়ে দেখা দিল একটা ভারতের মধ্যে আরও কয়েকটা ভারত। একদিকেমুষ্টিমেয় কিছু মানুষ প্রয়োজনের থেকে অনেক বেশি সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন, অন্যদিকে কিছু মানুষ পড়ে রয়েছে যেখানে রোদ্দুর নেই, বাতাস নেই, উত্তাপ নেই।  আছে কেবল খিদে আর খিদে কিন্তু পেট ভরানোর খাবার নেই। এই নেই আর নেই রাজ্যে পড়ে আছেন অনেক অনেক মানুষ। তবে তো এটাই বলতে হয় যে আমরা স্বাধীনতার 76 বছর পালন করছি অথচ অধিকাংশ মানুষ স্বাধীনতার স্বাদ থেকে বঞ্চিত থেকে গেল। তাহলে স্বাধীনতা মানে কী ?