May 8, 2024

কথা হোক ঘরে বাইরে

ত্রিপুরার বাঙালি তিপ্রাল্যান্ড না চাইলেও তিপ্রা মথা ভোটে গুরুত্বপূর্ণ ছিল

জনসংখ্যায়মাত্র ৪০ লাখমানুষেরত্রিপুরায়ভোট।দেশেরলোকসভার৫৪৩টিআসনেরমধ্যেউত্তরপূর্বেরএইরাজ্যেরহিস্যামাত্র২টি।ভোটে৬০আসনেরমধ্য৩১আসনযেরাজনৈতিকদলঝোলায়ভরতেপারবে, তারাইদখলকরবেরাজ্যেরক্ষমতা।প্রসঙ্গত, এরআগেএইরাজ্যেবিধানসভার১১টিনির্বাচনেবামপন্থীরাসাতবারএবংকংগ্রেসওবিজেপিএকবারকরেজিতেছে।একসময়ত্রিপুরারনির্বাচনমানেইছিলবামপন্থীবনামকংগ্রেসেরলড়াই।পশ্চিমবঙ্গওকেরালারপরত্রিপুরাছিলবামেদেরতৃতীয়দুর্গ।তখনতাদেরএকমাত্রপ্রতিদ্বন্দ্বীছিলকংগ্রেস।কিন্তুগতনির্বাচনথেকেকংগ্রেসওসিপিএমউভয়েতাদেরপুরোনোজায়গাহারানোয়বিজেপিনতুনশক্তিহিসেবেপ্রতিষ্ঠাপায়।এমনকিবিজেপিকংগ্রেসপ্রার্থীদেরএকটাবড়অংশওকেড়েনেয়।পাশাপাশিগতপাঁচবছরবিজেপিরশাসনেরমধ্যেইত্রিপুরায়নতুনশক্তিহিসেবেমাথাতুলেছে‘তিপ্রামথা’।এইদলটিএকান্তভাবেইত্রিপুরাজনগোষ্ঠীররাজনৈতিকদল।

এবার ত্রিপুরা নির্বাচনের অন্যতম আকর্ষণ ভোটে তিপ্রা মথার অংশগ্রহণ। ফলে এবারের ভোট হবে ত্রিমুখী। জোর জল্পনা তিপ্রা মথা , বিজেপি সিপিএমের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী এবং তারা সরকার গড়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। তিপ্রা মথা বৃহত্তর তিপ্রাল্যান্ড চায়। ত্রিপুরার বাঙালিরা আবার সেটা চায় না। বাঙালিরাই ত্রিপুরা রাজ্যে সংখ্যাগুরু, প্রায় ৭০ শতাংশ। বাকিটা জনগোষ্ঠী, তারা একতৃতীয়াংশ হলেও রাজ্যজুড়ে ত্রিপুরা বা ত্রিপুরীদের রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক প্রভাব কম নয়। কিন্তু একসময় জনগোষ্ঠীর গেরিলারা বাঙালিদের তাড়াতে সশস্ত্র সংগ্রাম করেছিল। তাই বিজেপির পাঁচ বছরের শাসনের অনাচার হিংসার হিসাব নিকাশ ছাড়াও তিপ্রাল্যান্ড ঘিরে দ্বন্দ্বের কথাও এসেছে নির্বাচনী প্রচারে। তিপ্রা মথার মূল চমক ত্রিপুরার রাজপরিবারের সদস্য তথা তিপ্রা মথার প্রধান প্রদ্যোত বিক্রম মাণিক্য দেববর্মা। তিনি নিজে ভোটযুদ্ধে লড়ছেন না। এমনকি দলের প্রথম সারির নেতাদেরও মনোনয়ন দেননি। উপজাতি সংরক্ষিত ২০টি আসনের বাইরে তপশিলী জাতি সংরক্ষিত এবং সাধারণ আসন মিলিয়ে ৪২টিতে প্রার্থী দাঁড় করিয়ে তিনি হেলিকপ্টার নিয়ে রাজ্যের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত ছুটে গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের দাবিতে প্রচার করেছেন।

ভোটের আগে ত্রিপুরার উপজাতি সম্প্রদায় ফের একবার পৃথক তিপ্রাসা রাজ্য গঠনের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে ত্রিপুরা ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার্সের প্রাক্তন প্রধান বিজয় কুমার রাংখল, অল ত্রিপুরা টাইগার ফোর্সের প্রাক্তন প্রধান রঞ্জিত দেববর্মা সকলেই বুবাগ্রা বা রাজাকে চাইছেন। তবে কি এর আগে যেভাবে উপজাতি বনাম বাঙালি, মণিপুরী বা মুসলিমদের সংঘর্ষে রক্তাক্ত হয়েছে ত্রিপুরা, সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে? সম্প্রতি প্রদ্যোত মানিক্য দেববর্মা আদিবাসী সমাজকে একত্র করে রাজ্যের রাজনৈতিক ক্ষমতা পেতে তিপ্রা মথা নামের দলটি মারফত সাড়া জাগিয়েছেন। ৬০ আসনের বিধানসভা ভোটে অন্তত ২০টি আসনে ত্রিপুরাদের ব্যাপক উপস্থিতি। আসনগুলি ট্রাইবালদের জন্য সংরক্ষিত। প্রদ্যোত মানিক্যের লক্ষ্য এই ২০ আসন। তিনি জানেন বাকি ৪০ আসন ভাগাভাগি হবে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস তৃণমূলের মধ্যে। কিন্তু ভাগাভাগির পর যার হাতে ২০টি আসন এমনকি সরকার গঠনের সুযোগ চলে আসতে পারে।

একথাঠিকস্বাধীনতার৭০বছরপরেওত্রিপুরায়উপজাতিদেরসমস্যারসমাধানহয়নি।সেইজায়গায়দাঁড়িয়েত্রিপুরারউপজাতিদেরবসবাসেরএলাকানিয়েবৃহত্তরতিপ্রাল্যান্ডগঠনেরদাবিতুলেছেনপ্রদ্যোতবিক্রমমাণিক্য।তিনিউপজাতিদেরবড়অংশেরসমর্থনআদায়করেছেন।গতএপ্রিলমাসেস্বশাসিতজেলাপরিষদেরনির্বাচনে২৮টিআসনেরমধ্যে১৮টিআসনেজয়লাভকরেতিপ্রামোথা।উল্লেখ্য, উপজাতিদেরজন্যসংরক্ষিত২০টিআসনছাড়াওপাঁচ-ছটিএমনআসনরয়েছেযেখানেউপজাতিভোটেরপ্রভাবরয়েছে।অনেকেইনির্বাচনেরদু-দিনআগেতিপ্রামথারপ্রধানপ্রদ্যোতবিক্রমমাণিক্যদেববর্মারভোটরাজনীতিথেকেঅবসরেরকথাঘোষণাকরায়তাঁররাজনৈতিকপ্রতিপক্ষবিস্মিত।কিন্তুবুঝতেহবেএটাআসলেরাজারএকটারণনীতি।