April 28, 2024

কথা হোক ঘরে বাইরে

উপাখ্যান। আজও এক বটগাছকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে রয়েছে কত না কল্পকথা। কত বিশ্বাস। কত কাহিনি। মানুষের বিশ্বাসে মাত্র এক রাতের জন্য ভূত মুক্তি পায় পিয়ালবোড়োর শ্মশানঘাটে ৭১ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই বিশ্বাস বহন করে চলেছেন এলাকাবাসিরা ভূত চতুর্দশীর রাতে মুক্তিলাভ, পরের দিনই ফের মন্ত্রতন্ত্রে গাছে বাঁধা পড়ে ভূতেরা।

আসানসোলের মহিশীলা গ্রামের এক নম্বর কলোনির শ্মশানঘাটে ভূত চতুর্দশীর দিন থেকে সাজো সাজো রব। এই গাছেই ভূতদের বেঁধে দিয়েছিলেন সাধক বামাক্ষ্যাপার প্রধান শিষ্য বনমালী ভট্টাচার্য। প্রায় ৭১ বছর আগের সে কাহিনি আজ মিথে পরিণত হয়েছে। মানুষের বিশ্বাস গাছে বাঁধা পড়া তেনারা আজও রয়ে গিয়েছেন স্বমহিমায়।

আসানসোলের রায় পরিবাররের জমিদার তান্ত্রিক বনমালী ভট্টাচার্যকে জমি দান করেছিলেন আশ্রম গড়ে তোলার জন্য। মহিশীলার পিয়ালবোড়োর ওই শ্মশান সংলগ্ন নির্জন স্থানে তিনি নিজের সাধনা ক্ষেত্র করে তুলেছিলেন। কিন্তু আশ্রম করতে গিয়ে বাধে বিপত্তি। ওই স্থানে যে ভূতের উপদ্রব ছিল বিরাট। এমনই উপদ্রব যে, গ্রামের কেউ মারা গেলে রাতে শ্মশানে নিয়ে যেতেও ভয় পেতেন গ্রামবাসীরা।

এখন আর আশ্রম স্থানে শ্মশান নেই। আছে আশ্রমের পঞ্চমুণ্ডির আসন। বনমালী ভট্টাচার্যের ছেড়ে যাওয়া আসনে পূজার দায়িত্ব সামলাতেন শম্ভুনাথ ভট্টাচার্য তার পর বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য পুজো করে এবং সহযোগিতা সপরিবারে রয়েছে কার্তিক অমাবস্যার আগে ভূত চতুর্দশীতে কালীপুজো করা হয় সেখানে এখন পুজো করে  বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য শিবাভোগ ভৈরব ভোগ দান করা হয়। ভোগের উপাচার মদ আর মাংস। কালীপুজোর পরে ভূতেদের বেঁধে দেওয়া হয়। এই রীতি আজও চলে আসছে পরম্পরা মেনে।