কোনও চিকিৎসক বা মেডিক্যাল কাউন্সিল নয়, ভ্রুণের ব্যাপারে একমাত্র সিদ্ধান্ত নিতে পারেন ভাবী মা, পর্যবেক্ষণ আদালতের।
মুম্বই: ৩৩ সপ্তাহেও গর্ভপাত করানো যাবে যদি গর্ভবতী মহিলা চান। এমনই রায় দিল বোম্বে হাইকোর্ট। এক মহিলার দায়ের করা মামলার ভিত্তিতেই এই রায় দিয়েছে বিচারপতি জি.এস প্যাটেল এবং এস.জি ডিজের ডিভিশন বেঞ্চ। এব্যাপারে মেডিক্যাল কাউন্সিলের যুক্তিও খারিজ করে দিয়েছে। আদালতের তরফে স্পষ্টত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনও চিকিৎসক বা মেডিক্যাল কাউন্সিল নয়, ভ্রুণের ব্যাপারে একমাত্র সিদ্ধান্ত নিতে পারেন ভাবী মা। তবে গর্ভাবস্থায় ভ্রুণের কোনও সমস্যা থাকলে এই ধরনের পদক্ষেপ করা যাবে বলেও স্পষ্ট করে দিয়েছে বোম্বে হাইকোর্ট।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, এক মহিলা গর্ভাবস্থার ২৯ সপ্তাহ পর জানতে পারেন, তাঁর ভ্রুণের মধ্যে একাধিক শারীরিক সমস্যা রয়েছে। দেহের তুলনায় মাথা বড়। এরপরই তিনি গর্ভপাত করানোর সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু, সাধারণত মা ও ভ্রুণের কথা বিবেচনা করে ২৪ সপ্তাহ পর গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া যায় না। তাই মহিলার গর্ভপাতের আবেদন খারিজ করে দেয় মেডিক্যাল কাউন্সিল। তখন তিনি বোম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।
মহিলার আবেদনের ভিত্তিতে মেডিক্যাল কাউন্সিলের যুক্তি খারিজ করে দিয়ে ওই মহিলাকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল বোম্বে হাইকোর্ট। এ প্রসঙ্গে ২৪ পাতার রায়ে বিচারপতি জি.এস প্যাটেল এবং এস.জি ডিজের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, “ভ্রুণের কোনও সমস্যা থাকলে সেক্ষেত্রে গর্ভপাতের জন্য গর্ভবস্থার সময় কোনও বাধা হতে পারে না। এক্ষেত্রে আদালত কেবল দেরিতে গর্ভপাতের বিষয়টি দেখবে না, পাশাপাশি মাতৃত্বের স্বাদ নেওয়ার ব্যাপারে ভবিষ্যতের মায়ের ইতিবাচক ইচ্ছার দিকেও খেয়াল রাখবে। একজন মায়ের অস্তিত্ব, অধিকার এবং মতামত জেনে তার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আইনত অধিকারকে কোর্ট নাকচ করে দিতে পারে না।”
ওই মহিলাকে গর্ভপাতের অনুমতি না দেওয়ার জন্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্রতিও ক্ষোভ প্রকাশ করে আদালত। রায়ে স্পষ্টত বলা হয়েছে, “কেবল দেরিতে গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেজন্য অনুমতি দেওয়া হবে না, এটা ঠিক নয়। এই ধরনের আবেদন খারিজ করে দেওয়া মানে তাঁর মা এবং নারীত্বের সত্ত্বা ছিনিয়ে নেওয়া। যদি ভ্রুণের মধ্য অস্বাভাবিকতা থাকে, তাহলে গর্ভাবস্থার সময় কতটা দীর্ঘ, সেটা কোনও বিষয় হতে পারে না।”
More Stories
ভারত পাকিস্তান বর্ডারে মোদি I পাকিস্তানের ঘুম উড়লো
“দু একটা ঘটনা ঘটে গেলে বাংলায় চিৎকার চেঁচামেচি হাহাকার বেশি হয়”-মমতা
অর্ধ উন্মাদ মমতা ব্যানার্জি ! কেন বললেন শুভেন্দু