ককবরক হচ্ছে ত্রিপুরা আদিবাসী সম্প্রদায়ের হাজার হাজার বছরের আদিবাসীভাষা। “কোক” মানে ভাষা, “বোরক” মানে মানুষ অর্থাৎ এখানে এমন লোক যারা কোকবোরক কথা বলে।কোকবোরক ভাষা তিব্বত-বর্মণ ভাষা গুলির মধ্যে অন্যতম। ভারতের উত্তর-পূর্বাংশ এবং বাংলাদেশ পার্শ্ববর্তী পার্বত্য চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চলে কথিত আজ ককবরক ভাষাটি অঞ্চলের তিব্বত-বর্ম ভাষা সমূহের মধ্যে দ্রুততমক্রম বর্ধমান এবং উন্নয়নশীল ভাষার মধ্যে একটি।
কোকবোরোক হল ত্রিপুরার ১৯টি উপজাতি সম্প্রদায়ের সংখ্যাগরিষ্ঠের ভাষা। এই ভাষার এক দীর্ঘ ইতিহাস আছে। শুধু তাই নয়, কোকবোরোক ত্রিভাষা নীতির আওতায় পার্বত্য রাজ্য ত্রিপুরায় অন্যতম সরকারি ভাষা হিসেবেও স্বীকৃত। রাজ্যের বিভিন্ন উপজাতি সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এই কোকবোরোক ভাষা। কিন্তু, এর কোনও লিপি নেই।
বিতর্কের কারণে ককবরক স্ক্রিপ্ট চূড়ান্ত করা হয় নি, তবে অনেকে “রোমান স্ক্রিপ্ট” এ লেখার জন্য পছন্দ করে এবং কিছু লোক “বাংলার” স্ক্রিপ্টে ককবরক লিখেন। ত্রিপুরা জনগণের দ্বারা মহান কৃতিত্ব অর্জন করেছে যে ককবরক ভাষা এখন শেখানো হয় সরকারি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। মূলধারার আধুনিকায়নের জন্য ভাষা আরও উন্নত করার প্রচেষ্টা এখনো চলছে।