বার বার খবরের শিরনামে রবীন্দ্রনাথের সাধের বিশ্বভারতী আর তার সঙ্গে কিছুকাল ধরে জুড়ে রয়েছে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নাম। বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। বারবার বিভিন্ন কারণে যেমন বিশ্বভারতীর ছাত্ররা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ আন্দোলনে নামছেন অন্যদিকে একাধিকবার উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছেন। তাঁর বিরুদ্ধে সবসময়ই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র–ছাত্রীদের তরফ থেকে অভিযোগ থাকে।
একের পর এক ঘটনা আর ঝামেলা–ঝঞ্ঝাট নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠেছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অফলাইনে পঠনপাঠন শুরু হয়েছে। তবে হস্টেল বন্ধ ছিলো বেশ কিছুদিন। আর তা নিয়েই যত জটিলতা। কারণ দূরদুরান্ত থেকে আসা পড়ুয়ারা অসুবিধায় পড়েছেন। তাই হস্টেল খোলার দাবিতেই আন্দোলন চরমে ওঠে। হস্টেল খোলা–সহ নানা দাবিতে পড়ুয়াদের আন্দোলনে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্বভারতী। রেজিস্ট্রারের ঘর বন্ধ করে আন্দোলনে সামিল হন তাঁরা। ঘেরাও করে রাখা হয় রেজিস্ট্রার–সহ অন্যান্য আধিকারিকদের। প্রায় ৮৪ ঘণ্টা পর শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ এসে তাঁদের উদ্ধার করে। যদিওএখন হোস্টেল খোলা I
এর আগেও গত অগস্ট মাসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তিন ছাত্রকে বহিষ্কৃত করেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছাতিমতলায় বিক্ষোভ দেখানোর নামে বিশ্বভারতীয় শিক্ষা–পরিবেশ কলুষিত করেছেন তারা। একই সময় দুই অধ্যাপককেও সাসপেন্ড করা হয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে। তারপরই উপাচার্যের বাড়ির সামনে অবস্থান বিক্ষোভের শুরু হয়। ওই ঘটনায় বিশ্বভারতী ইউনিভার্সিটি ফ্যাকাল্টি অ্যাসোসিয়েশন উপাচার্যকে কাঠগড়ায় তুলে তাকে সরানোর দাবিও তোলে।
গত সেপ্টেম্বর মাসে এম.এড–এর প্রবেশিকা পরীক্ষার মেধাতালিকা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ে কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষা ১০০–তে, কিন্তু দেখা যায় কেউ পেয়েছেন ২০০ কেউ আবার ১৯৮। করোনা আবহে অনলাইনে ভুলে ভরা এমন মেধাতালিকা কীভাবে প্রকাশ হল।
বেশ কিছু ঘটনায় এখন বিশ্বভারতীর নাম হয়েছে বিবাদ–বিসংবাদ। বিশ্বভারতীর পৌষমেলার মাঠ পাঁচিল দিয়ে ঘেরা নিয়ে হুলস্থূল বাঁধে। পে–লোডার দিয়ে ভুবনডাঙা বাঁধ লাগোয়া মেলা–মাঠের মূল প্রবেশ দ্বার গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এর পর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বহিরাগত বলে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী যে বিতর্ক তৈরি করেন, তারপর তাঁকে অনেকেই বিতর্কের নোবেলপ্রাপ্তি বলেও কটাক্ষ করেছিলেন। ‘রবীন্দ্রনাথ বহিরাগত’ কাণ্ডে বিদ্যুৎবাবুকে ক্ষমা চাইতে হয়, তাতেও কি তাঁর মুখরক্ষা হয়েছে?
অন্যদিকে অমর্ত্য সেনকে বিশ্বভারতীর জমির বেআইনি দখলদার বলায় ধুন্ধুমার তর্ক বাঁধে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অমর্ত্যের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে চিঠি লিখে জানান, ‘অমর্ত্য সেন আদর্শগত ভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে বলেন বলেই এ সব হচ্ছে। এটা বাংলার মানুষ সহ্য করবে না। অমর্ত্য সেনের কাছে আমি ক্ষমা চাইছি।’
এখানেই শেষ নয়, ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল (ন্যাক)-এর মূল্যায়নে বিশ্বভারতীর মান নেমে গিয়েছে অনেক নীচে। ন্যাকের মূল্যায়নের উপরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে শুরু করে পড়ুয়াদের নানা মেধাবৃত্তি নির্ভর করে। কিন্তু, ন্যাকে ক্রমশ মান কমতে থাকলে তা সার্বিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর প্রভাব ফেলে।
কিছুকাল ধরেই বিতর্ক আর বিশ্বভারতী একে অপরকে অঙ্গাঙ্গি জড়িয়ে ধরে আছে। ‘বহিরাগত’ বিতর্ক ,শতাধিক বছর আগে প্রতিষ্ঠিত ‘আলাপিনী মহিলা সমিতি’ তুলে দেওয়ার চেষ্টার , অমর্ত্য সেনের বাড়ি, ও তিনি নোবেল বিজয়ী নন মতো অভিযোগেই যা থেমে থাকে নি।
##santiniketan #visvabharatiuniversity #bidyutchakrabarty #vicechancellor #chiefminister #mamatabanerjee #mamatabanerjeeofficial #tmcofficial #bjpofficial #suvenduadhikari #students #pmoindia #kothanews #banglanews #westbengal
More Stories
ভারত পাকিস্তান বর্ডারে মোদি I পাকিস্তানের ঘুম উড়লো
এথিক্স ব্রেক করছেন কি ডাক্তারবাবুরা ?
সুপ্রিম কোর্টের শুনানি I R G KAR – খুন ধর্ষণ মামলা#supremecourt